এই ভোরবেলা অবধিও মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে চলেছিলো - সেই বৃষ্টিতে গাছপালা, লতাপাতা, পাখির গা', আর ঘরের চাল ধুয়ে-মুছে সব চকচক করে উঠেছে। বিকেলের বৃষ্টি যেমন মন-খারাপের বার্তা নিয়ে আসে, তেমনি সকালের বৃষ্টি বুকভরা এক নাম-না-জানা আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির জলে স্নান করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতাগুলো, সোনালী রোদে চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদুমন্দ বাতাসে ঋষি-মুনিদের মত ধানের শিসগুলো এদিক-ওদিক মাথা দুলিয়ে চলেছে। ভারতের এই অংশটি পূর্ব সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। আধুনিকতার ছোঁয়া মানুষের পায়ে পায়ে চলে আসলেও জীবন চলার পথে তার ছাপ এখনো সুস্পষ্ট নয়। তাই সোঁদা মাটির ঘ্রাণ এখনও এখানে পাওয়া যায় - সুনীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বুক ভরে শান্তির নি:শ্বাস নেওয়া যায় - ইলশে-গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রকৃতির ভালবাসাকে বুকে আপন করে টেনে নেওয়া যায়। কুটনৈতিক টানাপোড়ন, রাজনীতির বিভীষিকা কিংবা ধর্মীয় বিভেদ এখনো এখানকার মানুষে-মানুষে বিভেদ জোগাতে পারেনি। জীবন চলে এখানে শান্ত, নির্বিকার ভঙ্গীতে - এক নিজস্ব ছন্দে...
No comments:
Post a Comment