Saturday, March 1, 2014

ঘটনার ঘনঘটা...

আমার অফিসে কর্মরত ইন্ডিয়ানদের মধ্যে মূলত: দু'ধরণের গ্রুপ আছে - একদল, যারা বেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ - খালি স্টক, শেয়ার, সেকেন্ড মর্টগেজ, রথ আই-আরে, অ্যামেরিকান বেসবল/সকার, ট্যাক্স, ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইত্যাদি নিয়ে কপচাতে থাকে আর সংখ্যালঘু আরেকদল বেশ আলটপকা জিনিষ নিয়ে কথা বলে, at least লাঞ্চ টাইমে খেতে বসে। আমি সাধারনত: ওই সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রুপটিকে সযত্নে এড়িয়ে চলে অন্য গ্রুপটির সাথে বসে লাঞ্চ সেরে নিই, যদিও ভালো করেই জানি যে তাদের কাছ থেকে জীবনযাপনের উপযোগী কোনো কার্যকরী টিপস বা সাজেশন আশা করা একেবারেই অবান্তর। এই যেমন আগের দিন কে-একজন যেন প্রশ্ন করলো যে ব্রেনের কোন অংশটা ঠিক করে, যে আজ বাড়ি ফিরে কি খাবো, বা এই উইকেন্ডে কোন সিনেমা দেখবো, ইত্যাদি। এটা একেবারেই বাচ্চাদের প্রশ্ন - এই প্রশ্নের উত্তর আমি একসময় খুব ভালো করেই জানতাম। কিশোর বয়সে এই ধরণের মামুলি নিউরোসায়েন্স প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় আমি ব্রেনের ছবি এঁকে সঠিক Lobe-টা হাইলাইট করে দিতাম - কিন্তু কোন এক দূর্বোধ্য কারণে আজ সেই উত্তরটা একদমই  মনে করতে পারলাম না। কিছুপরে আরেকজন কে বলে উঠলো যে premonition-এর কোনো রিয়েল এক্সপেরিয়েন্স কারোর কখনো হয়েছে কি না। এই প্রশ্নটা শুনতেই মাথায় চড়াক করে, যাকে বলে একেবারে স্পার্ক খেলে গেলো। এরকম ঘটনা আমার জীবনে গোটা কয়েকবার ঘটেছে - যাকে বলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট premonition না হলেও, অন্তত: ৮৫% তো বলা যেতে পারে!! হঠাই মনে হলো অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে - তাড়াতাড়ি লাঞ্চ সেরে, ডেস্কে ফিরে এসে কিছুটা উদ্দেশ্যবিহীন ভাবেই premonition নিয়ে গুগল-সার্চ করে চললাম। Premonition কথাটার মানে জানলেও সেটা কেন জানিনা আমার সেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাথে কখনো এক করে ভেবে দেখিনি। তবে আমার সে অভিজ্ঞতার কথা এখানে বললে কিছুটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে - নিজের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত কথাবার্তা সবসময় চেঁচামিচি বা পাগলের প্রলাপ হয়ে দাঁড়ায়, বাকি সবাইয়ের কাছে। তাই একটা সিমিলার ঘটনার আড়ালে সেটা বলার চেষ্টা করা হলো এখানে। এই ঘটনা বর্ণনায় দরকার একজন নায়িকা, তার নায়ক, আর আরেকজন থার্ড-পারসন-সিঙ্গুলার নাম্বার। ইচ্ছা করেই এই তিনজনের কোনো নামকরণ করা হলো না - তার দরকারও নেই। এই তিনজনকে স্রেফ 'নায়ক', 'নায়িকা' আর 'লোক' হিসাবেই রেফার করা হলো। 
The part of the brain that controls discernment is the frontal lobe or the prefrontal cortex
......... আজ তার জন্মদিন - ঘুম থেকে উঠেই খুশিতে নায়িকা ডগমগ হয়ে উঠলো, কারণ একটু পরেই তারা শপিং করতে বার হবে - একটা দামি কোন জুয়েলারী কেনার উদ্দেশ্যে, সেটাই হবে তার অফিশিয়াল বার্থ-ডে প্রেজেন্ট। হাতের কাজগুলো সব ঝটপট সেরে নিয়ে, স্নান-টান সেরে, সেজেগুজে তারা দুজনে বেরিয়ে পড়লো কাছের শপিং কমপ্লেক্সটার দিকে। কেনাকাটি শেষ হলে, কোনো ভালো একটা রেঁস্তোরায় লাঞ্চ সেরে নিয়ে তারা একটা কোন নতুন মুভি দেখতে যাবে - আপাতত: এইই হলো তাদের প্ল্যান। উইকেন্ডের বাজারে দোকানগুলোতে মোটামুটি ভালোই ভীড় হয়েছে - বিশেষ করে ফ্যাশন রিলেটেড দোকানগুলোতে। শপিং কমপ্লেক্সে ঢুকে নায়িকাকে তার নিজের পছন্দমতো দোকানগুলোতে ইচ্ছামতো ঘুরতে দিয়ে নায়ক সামান্য কিছু ডিসট্যানস রেখে চলতে থাকলো। ইদানিং তার এজাতীয় দোকানগুলোর প্রতি অজানা এক বিরক্তি জমতে শুরু করে দিয়েছে, কিন্তু আজকের এই বিশেষ দিনে সে-সব কিছু মাথায় না-আনাই ভালো। অবশেষে এক পপুলার দোকানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে অনেকগুলো আইটেম নাড়াচাড়া করার পর কয়েকটা অর্নামেন্ট নায়িকার হিটলিস্টে ঢুকে পড়লো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এগুলোর কয়েকটার দাম একেবারেই কম - কারণ সেগুলো দেখতে ভালো হলেও, কোন আসল স্টোন বা নামী-দামী মেটালের নয়। আবার বাকিগুলোর দাম তাদের বাজেটের থেকে বেশ কিছুটা বেশি !! সুতরাং কি করা যায় তা ভাবতে ভাবতেই হঠা করে তার সেই সিক্সথ সেন্সের অস্বস্তির ভাবটা আবার প্রকট হয়ে উঠলো। ঘাড় ঘোরাতেই নায়িকা সেই লোকটিকে” দেখতে পেলো - খুবই সাধারণ, অনুজ্বল পোশাকপরা প্রায় মাঝবয়সী এক লোক, চোখে পাতলা ফ্রেমের চশমা, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, পিঠে বোধহয় একটা ব্যাকপ্যাক - দু'পকেটে দু'হাত ঢুকিয়ে, তার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ভাবলেশহীন মুখে এদিকেই চেয়ে আছে - তাকিয়ে আছে ঠিক তার দিকে নয়, বরং তার পছ্ন্দ করা সেই জিনিষগুলোর দিকে। আচমকাই নায়িকার এ দোকানটা আর তেমন ভালো লাগলো না, অন্য দোকানের দিকে পা বাড়ালো সে। বেশ কিছুক্ষণ এ-দোকান, সে-দোকান ঘুরে ঘুরে চললো সে। এখন তার দৃষ্টি শুধু জুয়েলারীর দিকেই সীমাবদ্ধ নয় - আড়ালে আড়ালে সে লক্ষ্য রেখে চলেছে যে লোকটা কি তাকে সত্যিই ফলো করছে - না কি সবই তার মনের ভ্রান্ত কোনো ধারণা। কিন্তু তার আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয় - বাস্তবিকই সে লোকটাকে ঠিক খুঁজে পেয়ে যাচ্ছে - হয় পাশের দিকে, নয় কিছুটা পিছনে, অ্যাঙ্গেল করে 'সেই হতচ্ছাড়া' মোটামুটি তার দিকেই তাকিয়ে আছে - যদিও কখনই সে তার চোখে চোখ রাখছেনা। এবার নায়িকা ঠিক করলো আচমকাই সে কমপ্লেক্স থেকে বার হয়ে গিয়ে অন্য কোন দোকানে ঢুকে পড়বে। সেই মতো কাছের এক্সিটটা আসতেই সে এসকালেটারে উঠে পড়লো - এবারে পিছনে তাকিয়ে ধারে কাছে কোথাও সে লোকটাকে দেখতে পেলো না। স্বস্তির একটা নি:শ্বাস ফেলে শপিং কমপ্লেক্সটা থেকে বার হয়ে রাস্তায় পড়তেই আচমকা সে লক্ষ্য করলো যে রাস্তার অন্য ফুটপাথ দিয়ে, প্রায় তাদের সমান্তরাল ভাবেই সেই লোকটি হেঁটে চলেছে - তবে তার দৃষ্টি সোজা সামনের দিকে। হঠা করেই মনের মধ্যে যেন একরাশ বিরক্তি দলা বাঁধতে শুরু করলো, আর তার সাথে জমতে থাকলো এক অজানা রাগ। বেশ কিছুটা হেঁটে, ঝট করে ডাইনে বেঁকে নায়িকা একটা দামী জুয়েলারী দোকানের দরজা খুলে তাড়াতাড়ি ঢুকে পড়লো। এই দোকানটি বাস্তবিকই উচ্চবিত্তদের জন্যে - জিনিষপত্তের কোয়ালিটির সাথে সেগুলোর দামও বেশ চোখে পড়ার মতোই !! কিন্তু নায়িকার মনের মধ্যে কেমন যেন একটা জেদ ঢুকে গেছে। এই কেনাকাটির ঝামেলা সেরে তাকে দ্রুত এই চত্ত্বরটা থেকে বার হতে হবে। একটা ডার্ক গ্রীন কালারের এমারেল্ডের সেট তার খুব পছন্দ হয়ে গেলো। যদিও এই সেটটার দাম তাদের অরিজিনাল বাজেটের প্রায় দেড় গুনেরও বেশি, কিন্তু তার মাথায় এখন ঝোঁক চেপে গেছে - এটাকেই-ই সে আজ কিনবে। এবার তার মনে হতে লাগলো যে একদিক দিয়ে হয়তো ভালোই হয়েছে, কারণ সেই লোকটি না থাকলে তারা হয়তো এই দোকানে ভুলেও আসতো না - আর এই সেটটা এককথায় অসাধারণ লাগছে তার কাছে - দাম হয়তো একটু বেশি, কিন্তু সত্যিই কি দারুণ বেশি? এমন জিনিষ সে আর কোথাও আগে দেখেছে বলে মনে করতে পারলো না। ঝট করে যেমন তার মনে একরাশ বিরক্তি এসে গিয়েছিলো, ঠিক তেমনি করেই আবার খুশির চোরাগোপ্তা প্যাঁচে মনটা ক্রমশ: ভালো হয়ে উঠতে লাগলো। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার নায়কটি অবশ্য এসব কিছুই জানতে পারলো না, পারার কথাও অবশ্যি তার ছিলোনা - তার মনের মধ্যে কেবল একটাই প্রশ্ন ঘুরে চলেছে, 'আর ক'টা দোকান আমরা ঘুরে ঘুরে চলবো'!! দাম দরাদরির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে তারা - হঠাৎই এসময় শো-কেসের স্বচ্ছ গ্লাসের রিফ্লেকশানে নায়িকা পরিস্কার দেখতে পেলো যে তাদের ঠিক অন্যপাশেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে সেই লোকটি - আর তার দৃষ্টি এবারেও তার পছন্দ করা সেই সেটটার দিকেই। আর চুপ করে সে থাকতে পারলোনা - মাথায় আগুন জ্বলে উঠেছে এবার। সে সরাসরি লোকটার দিকে ঘুরে, প্রচন্ড জোরে চেঁচিয়ে উঠলো: কি পেয়েছেন কি আপনি? এভাবে আমাকে ফলো করে চলেছেন কেন? পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নায়কটি অবাক হয়ে গেলো, কিন্তু সে যথাযথ নায়কোচিত ভাবেই হাতের জামা গুটিয়ে, মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে এগিয়ে গেল লোকটার দিকে - যদিও সে লোকটির কোনো দোষ খুঁজে পেলো না। নিতান্ত গোবেচারার মতোই লোকটি ভ্যাবলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার নায়িকার সামনে। তো-তো করে সে কিছু বলে ওঠার চেষ্টা করলো - কিন্তু তার সে'কথায় কোন ভ্রুক্ষেপ না দিয়ে, প্রচন্ড রাগে জ্বলতে জ্বলতে নায়িকা তার নায়ককে জোর করে টেনে নিয়ে দোকান থেকে বার হয়ে পড়লো। চুলোয় যাক কেনাকাটা, আজকের দিনটাই খুব বাজে !! আর কোথাও না-গিয়ে সোজা বাড়ির দিকে ফিরে চললো তারা। বাড়িতে ফিরে এসে ফোনের মেসেজবক্সের দিকে চোখ পড়তেই নায়িকা দেখলো বিপ-বিপ করে লাল আলো জ্বলে চলেছে সেখানে - একটি নয়, তিন তিনটি মেসেজ জমা হয়ে আছে ওটাতে। প্লে-বাটন চাপতেই ফোনের যান্ত্রিক কন্ঠ বলে চললো, নায়িকার বাড়ির খবর ভালো নয় - তার বাবাকে হসপিটালাইজড করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি - হৃদপিন্ড আর ঠিকঠাক কাজ করছে না - অপারেশানের প্রয়োজন এক্ষুনিই - কিন্তু খরচের অন্তত: ৮০% টাকা একসাথে জমা না-দিলে ভালো কোনখানে অ্যাডমিশন করানো যাবেনা - তাই চাই টাকা, বেশ কিছু টাকা, অবিলম্বেই।    

হঠাৎই নায়িকা বিহ্বল হয়ে পড়লো - আজকের এই জন্মদিন, হাসি-আনন্দ, জুয়েলারী কেনা, তাকে ফলো-করে চলা সেই লোকটি - এ সবকিছুই এখন খুব অর্থহীন হয়ে উঠলো। শুকনো গলায় নায়ক এ সময় বলে উঠলো, একদিক দিয়ে জুয়েলারী না-কিনে ভালোই হয়েছে। ওই টাকাটাই বরং ওয়ার-ট্রান্সফার করে দেওয়া যাক এখন - কিনলেই বরং আবার ফেরত দেবার ঝামেলায় পড়তে হতো। এ কথায় সম্বিৎ ফিরতেই নায়িকার মনে সহসা সন্দেহ দেখা দিলো, তাহলে কি সেই লোকটি.... সেই লোকটিই কি আগে থেকে এসবের কিছু জানতো... এ জন্যেই সে কি তাকে ফলো করে চলছিলো? এই সব ভাবনার মাঝেই হঠা 'ডিং-ডং' সুরে দরজার কলিংবেলটা বেজে উঠলো। দরজা খুলতেই তারা আরও অবাক - সেই লোকটাই বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘরে ঢুকতে দেওয়া আদৌ ঠিক হবে কিনা, তা স্থির করার মাঝেই লোকটি বলে উঠলো: ম্যাডামের রাগ কি এখন কমেছে একটু ? - এরপরও তাকে ঘরের ভিতরে আসতে না-বললে খুব খারাপ দেখায়। অত:পর কুন্ঠিত পদক্ষেপে ঘরে ঢুকে, জড়োড়ো ভাবে সোফার এক কোনে বসে পড়ে লোকটি - জানায় যে নায়িকাকে সে আসলেই ফলো করে চলছিলো, যাতে কোনো জুয়েলারী না-কেনা হয়ে ওঠে। কিন্তু 'কেন', এ প্রশ্নের কোনো সঠিক জবাব সে দিতে পারে না - কেবল বলে, যে কিছু মুষ্ঠিমেয় প্রিয়জনদের আগাম কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনার খবর সে পেয়ে যায় কোনও ভাবে, আগে থেকেই। নায়িকা চমকে গিয়ে বলে সে তো জীবনে লোকটিকে আগে কোথাও দেখেনি - ঘনিষ্ঠতা তো দূরের কথা, তাহলে? লোকটি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে ওঠে: ঠিকই, আমরা কেউ কাউকে চিনি না - কিন্তু আপনার মুখের সাথে আমার প্রেমিকার মুখের প্রচুর মিল ছিলো। এবার আরও কৌতুহল বেড়ে ওঠে তাদের - 'ছিলো' মানে? তো, সেই প্রেমিকার নাম কি, আর কোথায়ই বা আছে সে এখন। কিন্তু সে-সব প্রশ্নের উত্তরে লোকটি চুপচাপ, মুখ নীচু করে বসে থাকে। অত:পর যেন অনেক কষ্ট হচ্ছে, এরকম যন্ত্রনাকাতর ভাবে মুখ তুলে সে ধীর কন্ঠে বলে ওঠে যে তার সেই প্রেমিকা 'আরো ভালো' কাউকে খুঁজে নিয়ে চলে গেছে - কোথায় গেছে জানা নেই, কিন্তু তার নিজের premonition আজও ঠিকই কাজ করে চলেছে - এমন কি মুখের মিল থাকা সম্পূর্ন আলাদা কোনো মানুষের সম্পর্কেও... ~~~~ ঘটনার ঘনঘটায় তারা তিনজনেই হতবাক হয়ে গেলো। কেবল ঘরের দেওয়ালে ঝোলা ঘড়ির পেন্ডুলামটা টিকটিক শব্দে বেসুরো আওয়াজ করে দুলে যেতে লাগলো।       

   
মাস খানেক পরের ঘটনা: 
নায়িকার বাবা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন - সময়মতো এবং সঠিক অস্ত্রপচারের দৌলতে ঈশ্বর তাঁকে আপাতত আরও কিছুকাল বাঁচার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। নায়িকা ঈশ্বরের সাথে সাথে সেই অজানা লোকটিকেও মনে মনে অজস্র ধন্যবাদ দিয়ে চলে, আজও। দূর্ভাগ্যবশত: লোকটার নাম জানা হয়ে ওঠেনি সে'দিন - প্রয়োজনই বোধ করেনি তারা কেউই - তাই সে এখন কোথায় আছে, তা একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন।   



No comments:

Post a Comment