রেসিপি দেখে রান্নার সমস্যা হচ্ছে, অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেও কোথাও না কোথাও গোলমাল হবেই। তিরিশ মিনিট একটানা সাধনার পর কোনোমতে একটা মন্ড তৈরী হলো - তারপর এক এক করে হর্স-শু র দুই মুখ চিপকে দিয়ে তৈরী হলো অমায়িক ফ্লেভারের অপার্থিব মিষ্টি 'গু-জি-য়া'। তারপর একরাশ গলগলে ভালোবাসার রসে চুবিয়ে গুজিয়া পরিবারকে সন্তর্পণে ইনকিউবিটরে চালান করা হলো।
ভিডিওর স্রষ্টা যেমন নিখুঁত ও সুস্বাদু হবে বলে দাবি করেছিলেন, শুধু দাবি নয়, তার সুঠাম ঢ্যাঁড়শাঙ্গুলে চরম অবহেলায় হর্স-শু র দুই মুখ জোড়া দিয়ে দেখিয়েছিলেন, আমাদের গুজিয়ার সবক'টা অতোটা তন্বী হয়নি, তবে খেতে সুস্বাদু হয়েছিলো। "ফেলে রাখলে যদি পরে তাদের স্বাদগুণ কমে যায় ?" -- মোদীরূপীয় প্রো-বৈজ্ঞানিক যুক্তি-ভয় দেখিয়ে, পার-হেড নয়টা করে গুজিয়া সাঁটিয়ে ফেললাম। একঘণ্টার খাটুনি জাস্ট সাড়ে চার মিনিটেই উবে গেলো।
কড়াই, তিনটে থালা আর চারটে প্লেট মেজে, ওভেনের ওপর এবং আশেপাশে ছিটকোনো ঘি-চিনি-দুধের অনু-ভগ্নাংশ রগড়ে মুছে যখন বিছানায় বডি ফেললাম, ঘুমটা চমৎকার এলো।