আনন্দবাজার: জাতীয় সংগীত গাইবার সময় হঠাৎ করে মনে পড়লো গ্র্যান্ডলি ক্লাবে শুধু পায়ে ফুটবল দিয়ে কথার ফুল ফোটানোর দিনগুলোর কথা। তখন তো তিনি ছোট্ট দুধের শিশুমাত্র - বয়স মাত্র পাঁচ - নিজের বাবাই ছিলেন তাঁর কোচ। কেরিয়রের মধ্যাহ্নে এসে আজকের এই ম্যাচের নেপথ্য কোচ তো তিনিই - ছয়শত গোলের মালিককে আজ সবাই মধ্যম আঙ্গুল দেখাচ্ছে - তাও আবার কি কারণে ? সামান্য একটা পেনাল্টি মিস করেছেন বলে ---- হায় বিধাতা, হায় আর্জেন্টিনা ---- ধরণী, তুমি দ্বিধা হও --- দুর্ভাগ্য - মহাবিশ্বের দুর্ভাগ্য !
আজকাল: ৩১-এ পা দিয়েও কী জানটাই না লড়িয়ে দিলেন! খেলার মাঝবিরতিতে টানেলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে, আর ঝাঁজালো ভাষণ দিচ্ছেন মেসি... এই অবিশ্বাস্য দৃশ্যের জন্মদাতাও হয়তো তিনি। যখন মেসির সঙ্গে বেরিয়ে আসছিলেন মাচেরানো, কী যেন তিনি বললেন মেসিকে ডেকে। হয়তো মনে করিয়ে দিলেন, "লিও, যে গোলটা করেছিস, এরপর দলকে কিছু বল। তুই-ই পারবি! তু হী তু রে !!"
অজয় বসু: সুনীল আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, আর উড়ছে, উড়েই চলেছে - কি দ্বিধাহীন, নির্ভীক তার উড়ন ভঙ্গী ---- এ কি! মেসি গোল দিয়ে দিয়েছে !!! লোকে পাগলের মতো কাঁদছে - নেচে চলেছে - হাততালি দিচ্ছে ! অন্যদিকে মারাদোনা এ কী অসভ্য আঙুলের ইঙ্গিত করে চলেছেন !! ছিঃ ছিঃ ছিঃ !!
উপেন্দ্রকিশোর: তোমরা গোল করতে পারো ? আমি একজন লোককে চিনতাম, সে সবরকমের বলেই গোল করতে পারতো। সেই যে সে একবার ইডেনে এসে বলের ড্রিবল দেখালো, অমনি সবার সে কি হাততালি ! সে যদি তোমরা দেখতে !!
সুকুমার রায়: আবার সে এসেছে ফিরিয়া।
পূর্ণেন্দু পত্রী: ভেবেছো পালাবে গর্তে? হৃৎপিণ্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্ণা, দিতে হবে চান করতে।
অবনীন্দ্রনাথ: অমনি সারা গ্যালারীতে যত লোক, যত লোক ছিলো, সব একসঙ্গে বলে উঠল "মে - সি -- মে - সি"
আমরা: আজকে জিতে গেলেই শেষ ষোলোয় - পারবে তো ?
(কৃতজ্ঞতা স্বীকার: অভিষেকের ব্লগ (ovshake.blogspot.com/2013/11/blog-post.html))
আজকাল: ৩১-এ পা দিয়েও কী জানটাই না লড়িয়ে দিলেন! খেলার মাঝবিরতিতে টানেলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে, আর ঝাঁজালো ভাষণ দিচ্ছেন মেসি... এই অবিশ্বাস্য দৃশ্যের জন্মদাতাও হয়তো তিনি। যখন মেসির সঙ্গে বেরিয়ে আসছিলেন মাচেরানো, কী যেন তিনি বললেন মেসিকে ডেকে। হয়তো মনে করিয়ে দিলেন, "লিও, যে গোলটা করেছিস, এরপর দলকে কিছু বল। তুই-ই পারবি! তু হী তু রে !!"
অজয় বসু: সুনীল আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, আর উড়ছে, উড়েই চলেছে - কি দ্বিধাহীন, নির্ভীক তার উড়ন ভঙ্গী ---- এ কি! মেসি গোল দিয়ে দিয়েছে !!! লোকে পাগলের মতো কাঁদছে - নেচে চলেছে - হাততালি দিচ্ছে ! অন্যদিকে মারাদোনা এ কী অসভ্য আঙুলের ইঙ্গিত করে চলেছেন !! ছিঃ ছিঃ ছিঃ !!
উপেন্দ্রকিশোর: তোমরা গোল করতে পারো ? আমি একজন লোককে চিনতাম, সে সবরকমের বলেই গোল করতে পারতো। সেই যে সে একবার ইডেনে এসে বলের ড্রিবল দেখালো, অমনি সবার সে কি হাততালি ! সে যদি তোমরা দেখতে !!
সুকুমার রায়: আবার সে এসেছে ফিরিয়া।
পূর্ণেন্দু পত্রী: ভেবেছো পালাবে গর্তে? হৃৎপিণ্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্ণা, দিতে হবে চান করতে।
অবনীন্দ্রনাথ: অমনি সারা গ্যালারীতে যত লোক, যত লোক ছিলো, সব একসঙ্গে বলে উঠল "মে - সি -- মে - সি"
আমরা: আজকে জিতে গেলেই শেষ ষোলোয় - পারবে তো ?
(কৃতজ্ঞতা স্বীকার: অভিষেকের ব্লগ (ovshake.blogspot.com/2013/11/blog-post.html))